চলবে না কোনো গাফিলতি। উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখা থেকে নম্বর দেওয়া নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।
WBCHSE has issued new guidelines for Higher Secondary marks and results
উচ্চমাধ্যমিক খাতা দেখা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি
গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। যার কারণে বর্তমানে চাপ রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর। পুরো দমে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখার কাজ চলছে। আর তার মধ্যে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মূলত খাতা দেখা নিয়ে নয়া এই গাইডলাইন প্রকাশ করল সংসদ। নতুন নিয়মে একেবারে ত্রুটিহীন ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে পরীক্ষার্থীদের খাতা। সতর্ক থাকতে হবে প্রধান পরীক্ষক সহ তার অধীনে থাকা খাতা দেখছেন এমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও।
ত্রুটিহীন মূল্যায়ণে উপর জোর
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে নির্দেশিকা জানানো হয়েছে চলতি বছরে অনলাইনে আপলোড করা হবে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর। সেক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক মূল্যায়নে কোনো ভুল ত্রুটি যাতে না হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে যারা খাতা দেখছেন সেইসব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। অপরদিকে প্রধান পরীক্ষকদেরও এই বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
পূর্বে খাতা মূল্যায়নে ত্রুটি
প্রসঙ্গত পূর্বের বেশ কিছু বছরগুলিতে উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখা নিয়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে। মূল্যায়ন নিয়ে উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন। কেজিংয়ে ভুল নম্বর তোলা, মার্কস ফয়েলের নম্বর তোলায় ভুল, এমনকি লুজ সিটের হিসাবেও গরমিলের অভিযোগ এসেছে। প্রাপ্ত নম্বর না পাওয়ায় অনেকেই স্ক্রুটিনি, রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছে। এমনকি কিছু পড়ুয়া খাতা দেখানোর চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত করেছে। সেক্ষেত্রে বহু পরীক্ষার্থীর ৫ থেকে ১৫ নম্বর করে বেড়েছে। এক্ষেত্রে খাতা দেখায় বিড়ম্বনার অভিযোগ উঠে এসেছে। তাই সেই অভিযোগ না ওঠার জন্য আগে থেকেই পরীক্ষকদের সতর্কতা জারি করলো হায়ার সেকেন্ডারি বোর্ড।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের মন্তব্য
শুধু উচ্চমাধ্যমিক সংসদ নয়, পাশাপাশি পরীক্ষার সঠিক মূল্যায়ন বিষয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেছেন, পরীক্ষার মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই সতর্কতা প্রয়োজন। সংসদ সব সময়ই চায় ভুল ত্রুটিহীন ফল প্রকাশ করতে। যা পরীক্ষার্থীদের জন্য ভালো হবে। তাই বিড়ম্বনা না করে অবশ্যই সতর্ক হওয়া দরকার।
বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য
এই বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডলের বক্তব্য, এই পরীক্ষার মূল্যায়নের সাথে স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে পড়ুয়াদের। তাই খাতা দেখা বা নম্বর তোলার সময় অবশ্যই সেটা মাথায় রাখতে হবে পরীক্ষকদের।
শেষ কথা
সবসময়ই মূল্যায়ন সঠিক হওয়া প্রয়োজন যাতে কোনো প্রশ্ন না উঠে। প্রতিটি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্খা জড়িয়ে থাকে আর মূল্যায়ন সঠিক হলে সেই আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হওয়া উচিত নয়।