আধুনিক শারীর শিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ কর

২। আধুনিক শারীর শিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ কর।

আধুনিক শারীর শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

আধুনিক শারীর শিক্ষার ভূমিকা

বর্তমানে শারীর শিক্ষা বলতে স্বাস্থ্য ও জীবনের উৎকর্ষতা বোঝায় এবং বর্তমানে শারীরশিক্ষার কার্যক্রমগুলি পরিশ্রম বিমুখজনিত রোগের থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায় হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

আধুনিক শারীর শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

আধুনিক শারীর শিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলি হল –

(ক) আধুনিক শারীর শিক্ষার শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমের ব্যাপক পরিবর্তন :-

আধুনিক শারীর শিক্ষায় শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে যেমন সর্বস্তরে শিক্ষার পাঠক্রমের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তেমনি শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে পাঠক্রমের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। প্রগতিশীল না হলে এবং পরিবর্তনের ধারাকে না গ্রহণ করলে শারীরশিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করা সম্ভব নয়।

(খ) মানবতাবাদী শারীরশিক্ষা দর্শনকে প্রাধান্য দান :-

আধুনিক শিক্ষাক্ষেত্রগুলি যেমন মানুষ তথা শিক্ষার্থীদের সব সময় প্রাধান্য দিয়ে থাকে, তেমনি শারীরশিক্ষা কর্মসূচিগুলি রচনা করার সময় সকল শিক্ষার্থীদের কথা মনে রাখতে হবে। সবাই একই প্রকৃতির কর্মসূচি গ্রহণ নাও করতে পারে বা সব শিশু একই প্রকৃতির কার্যক্রমে অংশ নাও নিতে পারে। তাই সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য কর্মসূচি তৈরি করার দায়িত্ব শিক্ষকদের।

(গ) শিশুকেন্দ্রিক কর্মসূচি :-

গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শারীরশিক্ষার কর্মসূচি-রীতিবদ্ধ ও শিক্ষককেন্দ্রিক ছিল, বর্তমানে তা শিশুকেন্দ্রিক। বিশ্বের উন্নত দেশগুলির শারীরশিক্ষা কর্মসূচি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে তা পূর্বের ন্যায় গতানুগতিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয় না। এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ আছে। ক্যালিসথেনিসক্‌স, ড্রিল, মার্চিং-সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনের সুযোগ আছে। রীতির বাইরে শারীরশিক্ষাকে বের করে নিয়ে যেতে না পারলে এর জনপ্রিয়তাও বাড়বে না।

উপসংহার :-

আধুনিক ধারণায় শারীরশিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলি পর্যালোচনা করলে বিষয়টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়।

Leave a Comment